এ,কে,এম, খোরশেদ আলম, নলডাঙ্গা উপজেলা, প্রতিনিধিঃ অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে গত ৫ জানুয়ারি নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা ৫ নং বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর দিঘা গ্রামের দিড়া পাড়ার মৃত আব্দুস সাত্তার বিসুর তিন মেয়ে সংরক্ষিত আসেন মহিলা মেম্বার পদে নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লেখ্য আব্দুস সাত্তার বিসুর দুই জন স্ত্রী তারাও সংরক্ষিত আসেন মহিলা মেম্বার পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আব্দুস সাত্তার বিসুর প্রথম স্ত্রী সাবেক মহিলা মেম্বার আলেয়া বেগমের সুযোগ ২ মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে হালিমা বেগম উপজেলা ৫ নং বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার পদে নির্বাচিত হয়েছেন ও তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, মেজো মেয়ে বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসিমা বেগম ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসেন মহিলা মেম্বার পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়াও আব্দুস সাত্তার বিসুর দ্বিতীয় স্ত্রী সাবেক মহিলা মেম্বার পারুল নাহার এর মেয়ে শাহানাজ পারভীন নাটোর সদর উপজেলার ১নং ছাতনী ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসেন মেম্বার পদে নির্বাচিত হয়েছেন। পারুল নাহার তিনিও দীর্ঘ ১৫ বছর মহিলা মেম্বার এর দ্বায়িত্ব পালন করেন।
তাদের দুই সতীনের কাছে মেয়েদের নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে আলেয়া বেগম সাংবাদিকদের কে বলেন, আমি একবার সাধারণ আসেন মেম্বার ও ৫ বার সংরক্ষিত মহিলা আসেন মেম্বার পদে দ্বায়িত্ব পালন করেছি। জনগণের সেবার জন্য আমার মেয়েরা ভোটের মাঠে নেমেছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের প্রমাণিত করে তারা জনগণের সেবা করতে চেয়েছে। নির্বাচনই এর অন্যতম মাধ্যম তাদের উদ্যোগকে সমর্থন করেছি। এ বিষয়ে সাবেক মহিলা মেম্বার আলেয়া বেগম আরও বলেন, দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। আমি ৭১ এর সময়ে অনেক অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছি, আমার বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং গরু সহ বাড়ির আসবারপত্র জোর করে নিয়ে যায় রাজাকারেরা। আমি মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম মুক্তিযোদ্ধাদের খাওয়াদাওয়া করাতাম,তাদের আশ্রয় দিতাম, তাদের সহযোগিতা করতাম। তাই রাজাকারেরা আমার বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয় তখন আমার কাগজপত্র গুলো পুড়ে যায় তাই আর আমি মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট পাই নাই। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, তাই আমি আমার মেয়েদের আমার আদর্শে আদর্শিত করেছি।
আমরা মেয়েরা দলের জন্য পরিশ্রম করে মিটিং মিছিল জনসভা ও অসহায় মানুষের পাশে গিয়ে আর্ত মানবতার সেবায় দাঁড়িয়েছে। দল ও ইউনিয়নবাসীর সাড়া পেয়ে ভোটের মাঠে ০৩ মেয়েকে নিয়ে মাঠে নেমে ছিলাম। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে জনগণ আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা থাকায় আমার মেয়েদের সংরক্ষিত আসেন মহিল মেম্বার পদে বিপুল ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।
তার মেয়েরা বলেন, আমাদের মা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, আর আমরা তারি সন্তান। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, আমরা ৩ বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদান জনগণের বাড়ি বাড়ি পৌছিয়ে দিয়েছি আগামীতে জনগণের দারগড়ায় আরো অনুদান পৌছিয়ে দিবো-ইনশাআল্লাহ্। আমরা এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের সেবা করে আমার মা এর মতো জনগণের পাশে থাকতে চাই।
ভোটযুদ্ধে জিতেই তিনকন্যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- সেবা নেওয়ার জন্য কোনো ভোটারকে তাদের দ্বারে ঘুরতে হবে না। তারাই যাবেন ভোটারের ঘরে ঘরে। পৌঁছে দেবেন সরকারি সুযোগ-সুবিধা। উল্লেখ্য যে, তাদের মা আলেয়া বেগমও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের ৩০ বছর মেম্বারের দায়িত্ব পালন করেছেন। মায়ের দেখানো পথেই হাঁটবেন তিন মেয়ে।
একই পরিবারের আপন ৩ বোনের নির্বাচনে জয়লাভ করায় এলাকায় ভোটারদের মাঝে নানান গুঞ্জন চলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।